শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

আপডেট
১২ বছরে ৫ বিয়ে, পঞ্চম স্ত্রীর মামলায় জেলে

১২ বছরে ৫ বিয়ে, পঞ্চম স্ত্রীর মামলায় জেলে

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গত ১২ বছরে ৫ টি বিয়ে করেছেন মো. সোহেল মাতব্বর (৩৫) নামে এক যুবক। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চম স্ত্রীর করা অভিযোগে ভোলার উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।

জানা যায়, ২০১০ সালে গ্রামের বাড়িতে সবার সম্মতিতে প্রথম বিয়ে করেন সোহেল মাতব্বর। সেই সংসারে দুই সন্তান। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে দুই তরুণীকে বিয়ে করেন ঢাকায়। এছাড়া ২০২০ সালে রাঙামাটি ঘুরতে গিয়ে বাসে পরিচয় হয় এক তরুণীর সঙ্গে। তাকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন ওই বছর। তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে বিদেশ (লিবিয়া) ভ্রমণ করেন সোহেল। সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে ভোলায় এক কিশোরীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

পরবর্তীতে পঞ্চম স্ত্রীর করা মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ পঞ্চম স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন আইনে ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।সোহেল মাতব্বর মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার ছগির মাতব্বরের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে , প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতেই একাধিক বিয়ে করেছেন সোহেল। তবে কোনো স্ত্রী তার অন্য বিয়ের কথা জানতেন না।

ভোলা সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন জানান, ‘সোহেলকে গ্রেপ্তারের খবরে তৃতীয় স্ত্রী তানিয়া বেগম ও চতুর্থ স্ত্রী রাশেদা আক্তার ভোলায় এসেছে। এই তিন স্ত্রী ছাড়াও সোহেলের গ্রামের বাড়িতে আরো দুজন স্ত্রী রয়েছে। এ পাঁচজন স্ত্রী ছাড়াও সোহেল আরো দুটি বিয়ে করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন সোহেল।

পঞ্চম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’ ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফরহাদ সরদার বলেন, ‘সোহেলের প্রতারণা কেউই বুঝতে পারত না। সে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করত। সোহেলের তৃতীয় স্ত্রী ঢাকার উত্তরায় কোর্টে তার বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেছে।

সে ওই মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তার চতুর্থ স্ত্রী গোপনে জানতে পারে সোহেল ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছে। এরপর চতুর্থ স্ত্রী ভোলায় এসে থানা পুলিশকে সোহেলের বর্ণনা দেয়। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পুলিশ ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ’

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |